নবীয়ে পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নসিহত চীন কর্তৃপক্ষের আমলঃ চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে মরণব্যাধি করোনাভাইরাসের উদ্ভব হয়। বর্তমানে এ শহর ছাড়াও 200 টির বেশি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। যার কোনো প্রতিষেধকও আবিষ্কৃত না হওয়ায় নবীয়ে পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নসিহত মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছে চীন কর্তৃপক্ষ।
আক্রান্ত দেশঃ
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শহরের মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি,স্পেন, অস্ট্রেলিয়া,ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, এবং ফ্রান্স এর মধ্যে অন্যতম।
গবেষকরা ধারণাঃ গবেষকদের মতে যদি এ ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে তাহলে প্রায় ছয় কোটি মানুষ মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে। যার কোনো প্রতিষেধকও আবিষ্কৃত হয়নি এখনো।
গবেষকরা ধারণাঃ গবেষকদের মতে যদি এ ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে তাহলে প্রায় ছয় কোটি মানুষ মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে। যার কোনো প্রতিষেধকও আবিষ্কৃত হয়নি এখনো।
কুরআন সুন্নার অনুস্মরণঃ
মারাত্মক মরণব্যাধি এ করোনাভাইরাস। এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে কুরআন সুন্নাহে কী ধরনের নসিহত রয়েছে তা অনুসরণ করাই সবার জন্য জরুরি।
ব্যাপক হারে মানুষ আল্লাহ তাআলার অবাধ্য হলে আল্লাহ পাক পৃথিবীতে গজব নাজিল করেন; যাতে মানুষ তাদের ভুল বুঝতে পেরে তাওবার মাধ্যমে আবার ফিরে আসতে পারে। এই গজব বা মহামারি আসলে তখন করণীয় কী? ইসলামে এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। যে কোন মহামারি থেকে বাঁচতে প্রথম ও প্রধান করণীয় হচ্ছে- নিজেদের কৃতকর্ম থেকে তাওবা করা এবং বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। এই মুহূর্তে আমাদের সবার উচিত, মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকা। সর্বদা পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন থাকা। কারণ, কিয়ামতের নিদর্শনগুলোর একটি হলো মহামারি। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩১৭৬)
পৃথিবীতে আজ প্রতিনিয়ত কতো কতো জালেমের অন্যায়-অত্যাচার আর অবৈধ শক্তির ভয়ে মানুষ আতঙ্কিত ও ভীত। কতো অসহায় মানুষ দু’হাত তুলে জালেমের ধ্বংস প্রার্থনা করেন অথচ এর প্রতিফলন তাৎক্ষণিক ঘটছে না। অশ্রু শুকিয়ে আশার প্রদীপ নিভে যায় অথচ জালেমের জুলম অব্যাহত থেকে যায়। এর রহস্য কী? কেন মহান স্রষ্টার এমন নিরবতা?
উম্মতের এমন ব্যথাতুর কৌতূহলের জবাব দিয়েই আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে গেছেন, আল্লাহ পাক জালিমকে ছাড় দিতে থাকেন- তারপর যখন ধরেন তখন আর তাকে কোনো সুযোগ দেন না। (বুখারী)
আল্লাহ বলেন, 'তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে, তা তো তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল'- (সুরা শুরা : ৩০)।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ছোট ছোট ভুলের জন্যও অনেক বড় মাসুল দিতে হয়।
করোনা ভাইরাস মূলত আল্লাহর গজব। মহামারি প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-
‘এটি আল্লাহর গজব বা শাস্তি, যা (এ রকম শাস্তি) বনি ইসরাঈলের এক গোষ্ঠীর ওপর এসেছিল, তার বাকি অংশই হচ্ছে মহামারি। অতএব, কোথাও মহামারি দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থানরত থাকলে সে জায়গা থেকে চলে এসো না। অন্যদিকে কোনো এলাকায় এটা দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থান না করলে সে জায়গায় যেয়ো না।’ (তিরমিজি)
করোনাভাইরাস এক অজানা আতঙ্ক। রাসুলে আরাবি মানবজাতিকে সতর্ক করেছেন অন্যায়, জুলুম ও অশ্লীলতার কারণে আল্লাহ তাআলা জালেম ও অন্যায়কারীদের ওপর অপরিচিত মহামারি চাপিয়ে দেন। হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যখন কোনো জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারি আকারে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তা ছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি।’ (ইবনে মাজাহ)
চীনের করোনাভাইরাস সে রকম ইঙ্গিতই বহন করছে।
বর্তমানের লক-ডাউন আর ১৫০০ বছর আগের প্রিয় নবীর(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদিসঃ-
হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশে বা অঞ্চলে যদি কোনে প্রকার প্লেগ বা মহামারি জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সেক্ষেত্রে তোমরা যারা (ওই অঞ্চলের) বাহিরে আছ তারা ওই শহরে প্রবেশ করো না। আর যে শহরে মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে তোমরা যদি সে শহরে বসবাস করো তবে তোমরা সে অঞ্চল বা শহর থেকে বাহির হয়ো না।’ (বুখারি, মুসলিম)
হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশে বা অঞ্চলে যদি কোনে প্রকার প্লেগ বা মহামারি জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সেক্ষেত্রে তোমরা যারা (ওই অঞ্চলের) বাহিরে আছ তারা ওই শহরে প্রবেশ করো না। আর যে শহরে মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে তোমরা যদি সে শহরে বসবাস করো তবে তোমরা সে অঞ্চল বা শহর থেকে বাহির হয়ো না।’ (বুখারি, মুসলিম)
আজকে আমরা প্রকৃতির সাথে জুলুম করছি, পশু পাখির উপর জুলুম করছি, মানুষের শিশু বাচ্চার উপর জুলুম করছি। এই সবের কারনে আজ করোনা আমাদের মাঝে গজব আকারে ধারন করেছে।
ইসলাম হচ্ছে মানবতামুখী ধর্ম, ইসলাম মানবতার ধর্ম। ইসলাম সব চেয়ে লেটেষ্ট ধর্ম। অন্য কাউকে এত লেটেষ্ট হবার প্রয়োজন নাই।
যে সমস্ত নির্দেশনা গুলো আমাদের জন্য সরকার থেকে এসেছে এগুলো আমাদেরকে পালন করতে হবে এর চেয়ে কঠিন কোন নির্দেশনা আসলে তাও পালন করতে হবে।
এ ব্যাপারে বেশি ধার্মিকতা দেখাবার কোন দরকার নাই, বেশি নামাজি দেখাবার সুযোগ নাই, বেশি মুশল্লিগিরি দেখাবার সুযোগ নাই।
একজন মুফতিকে মানবাদি হতে হবে, একজন ফকিহকে সমাজ, দেশ, রাষ্ট্রকে বুঝতে হবে। তাকে অনেক মানবতামুখী হতে হবে। তাকে বাস্তবমুখী হতে হবে। দেশকে রক্ষার, ঘরের শিশুকে রক্ষার জন্য, ঘরের মা বোদের রক্ষার জন্য এ ব্যাপারে ডাক্তারদের, বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শ নিতে হবে। আর আমাদেরকে সেটা মেনে নিতে হবে এর দ্বারা শরিয়তে ইসলামে কোন ক্ষতি হবে না।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে বুঝার তৌফিক দান করুক। আমিন।
যে সমস্ত নির্দেশনা গুলো আমাদের জন্য সরকার থেকে এসেছে এগুলো আমাদেরকে পালন করতে হবে এর চেয়ে কঠিন কোন নির্দেশনা আসলে তাও পালন করতে হবে।
এ ব্যাপারে বেশি ধার্মিকতা দেখাবার কোন দরকার নাই, বেশি নামাজি দেখাবার সুযোগ নাই, বেশি মুশল্লিগিরি দেখাবার সুযোগ নাই।
একজন মুফতিকে মানবাদি হতে হবে, একজন ফকিহকে সমাজ, দেশ, রাষ্ট্রকে বুঝতে হবে। তাকে অনেক মানবতামুখী হতে হবে। তাকে বাস্তবমুখী হতে হবে। দেশকে রক্ষার, ঘরের শিশুকে রক্ষার জন্য, ঘরের মা বোদের রক্ষার জন্য এ ব্যাপারে ডাক্তারদের, বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শ নিতে হবে। আর আমাদেরকে সেটা মেনে নিতে হবে এর দ্বারা শরিয়তে ইসলামে কোন ক্ষতি হবে না।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে বুঝার তৌফিক দান করুক। আমিন।